
বাঁ থেকে- পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, ওসি আলমগীর মাহমুদ, পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা
সাহসিকতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তদন্তে ভূমিকা রাখায় এবার চট্টগ্রামের সাত পুলিশ কর্মকর্তা পাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম)।
আগামী ৮ জানুয়ারি ঢাকায় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক তাদের গলায় পরিয়ে দেবেন।
এরা হলেন- চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ও সোয়াত প্রধান মীর্জা সায়েম মাহমুদ, সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান, আকবর শাহ থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সোয়াতের এটিএসআই জিহাদ হোসেন এবং জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (আরও) মো. শফিকুল ইসলাম।
এবার সারা দেশের ১৮২ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৫৮ জন বিপিএম এবং বাকিরা পিপিএম পদক পাচ্ছেন।
সীতাকুণ্ডে জঙ্গি অস্তানায় ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’ পরিচালনায় সাহসী ভূমিকা রাখায় পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বিপিএম সাহসিকতা, মীর্জা সায়েম, ইফতেখার হাসান ও জিহাদ পিপিএম সাহসিকতা পদক পাচ্ছেন।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগনেতা নুরুল ইসলাম নয়ন, ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন সুলতান, খুলশীর প্রবাসী মো. নাছির, রাঙ্গুনিয়ার নৈশপ্রহরী খুন, বাকলিয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক খুনসহ ১২ টি মামলার রহস্য উদঘাটন করায় দ্বিতীয়বারের মতো পিপিএম পদক পাচ্ছেন।
ময়লার স্তুপে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু একুশকে উদ্ধারের জন্য আকবর শাহ থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ ও প্রশাসনিক কাজের জন্য শফিকুল ইসলাম পাচ্ছেন পিপিএম সেবা পদক।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মিনা জানান, সোমবার বিকালে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ এসেছে।
তিনি বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য তাদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি ও বর্তমানে অ্যান্টি টেরোজিম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. শফিকুল ইসলামও বিপিএম পদক পাচ্ছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো পদক প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বলেন, “কোনো ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারলে ভালোই লাগে। আর এর জন্য পদকপ্রাপ্তি কাজের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয়।”
গত বছরের ১ জুন খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে লংগদুর যুবলীগ নেতা ও ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক নয়ন খুন হয়। এজন্য স্থানীয় বাংলাভাষীদের অনেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে। তবে জনসংহতি সমিতি ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।
এ ঘটনার পর রাঙামাটি জেলা পুলিশের অনুরোধে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ। তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে তিনি দুই আসামি গ্রেপ্তার এবং খাগড়াছড়ির দিঘীনালার মাইনি নদী থেকে মোটর সাইকেল উদ্ধার করে।
পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধ নয়, মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য নয়নকে হত্যা করা হয় বলে সন্তোষের তদন্তে বেরিয়ে আসে।