
লামার ফাঁসিয়াখালীতে বন্য হাতি উপদ্রবে ক্ষতিগ্রস্ত ধানের ক্ষেত।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা
ধারদেনা ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেছিল কৃষক মোঃ নুরুল ইসলাম ও মোঃ রবিউল হোসেন। কিন্তু একরাতেই স্বপ্ন ভেঙ্গেছে এই গরীব দুই কৃষকের। গভীর রাতে একপাল বন্য হাতির আক্রমণে দুই কৃষকের ব্যাপক ফসলের ক্ষেত ও বাগানের চরম ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নিরুপায় হয়ে ক্ষতিপূরণের আশায় বন বিভাগের ধারস্ত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা হলেন, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কচুখোলা গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত আবু সৈয়দ এর ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন বর্গাচাষী। গত সোমবার (১লা মার্চ) রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত একপাল বন্য হাতি আমার এক একর ধানের ক্ষেত ও কলা বাগানের ফলনশীল ৮শত কলাগাছ নষ্ট করে ফেলে। এতে করে আমার ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

লামার ফাঁসিয়াখালীতে বন্য হাতি উপদ্রবে ক্ষতিগ্রস্ত ফলনশীল কলা বাগান।
আরেক কৃষক মোঃ রবিউল আলম বলেন, আমি আমার বাবার নামীয় ৬০ শতক জমিতে বি/আর-২৮ জাতের ধান চাষ করি। নুরুল ইসলাম ও আমার ক্ষেত পাশাপাশি। একই সময়ে হাতির পাল আমার ৬০ শতক জমির লাগানো ধান নষ্ট করে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা লামা থানায় জিডি করেছে। তাদের লামা বন বিভাগের মাধ্যমে সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।